fbpx

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি টাকা লাগে?

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান, কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে শুরু করবেন? কি কি প্রয়োজন হবে, কত টাকা লাগবে, ফ্রিতে শেখা যাবে কিনা, কোথায় শিখতে যাব, কোন স্কিল বেছে নেব – এমন কতই না প্রশ্ন জাগে নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার্থীদের মনে।

এই প্রবন্ধটিতে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

একটা সময় ছিলো, ফ্রিল্যান্সিং কে মানুষ বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবেই দেখে আসতেন। কিন্তু ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির যুগে বিকল্প তো বটেই, অসংখ্য মানুষ তাদের প্রধান আয়ের উৎস হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করে আসছেন। কেন নয়? কাজের স্বাধীনতা, ঘরে বসে কাজ করার স্বাচ্ছন্দ্য মত এমন সুবিধা জনক রোজগারের উপায় আর কয়টা আছে!

আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর। দেশের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরই পড়ালেখার বাইরে ছোটখাটো কাজ করে আয় করার সুযোগ অনেক কম। সেই সাথে দেশের একটা বড় সংখ্যক নারী ঘর -সন্তান সামলে বাইরে কাজের সুযোগ পান না। তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটা চমৎকার আয়ের মাধ্যম হতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং এ অনেকের আগ্রহ আছে, কিন্তু তাদের মূল প্রশ্ন- ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো? আদৌ কি এর দ্বারা অর্থ রোজগার করা সম্ভব হবে?

আসুন একটু সহজভাবে চিন্তা করা যাক। আপনি যদি এমন কিছু করতে পারেন, যা অন্য মানুষের জন্য মূল্যবান হবে, তবে আপনি সবসময়ই সেই কাজের বিনিময়ে অর্থ পাবেন।

এখন এই মূল্য বা ভ্যালু ক্রিয়েট করা কাজটি শেখা ও সেই কাজটি যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছাতে পারা এই দুইটি বিষয়ের উপর নির্ভর করছে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের সাফল্য ও ব্যার্থতা। আসুন পরবর্তী অংশ গুলোতে বিস্তারিত জানা যাক।

ফ্রিল্যান্সিং মানে কি? ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?

ইংরেজ লেখক ওয়াল্টার স্কট (১৭৭১-১৮৩২) তার বই Coined এ প্রথম Free lances শব্দটি ব্যাবহার করেন। যার অর্থ সেই সব যোদ্ধা যারা কোন সম্রাট এর অধীনে নয়। ১৮০৩ এর দিকে এই শব্দটি অক্সফোর্ড ডিকশনারিতে যোগ হয়। বুঝতেই পারছেন বেশ রাজকীয় একটা নাম।

ঠিক সেই রকম, ফ্রিল্যান্সিং হলো কোম্পানি বা কারো আন্ডারে না থেকে নিজের জন্য কাজ করা। প্রায়শই ফ্রিল্যান্সাররা তাদের সুবিধা মত কাজ বেছে নেন। অবশ্য কাজ দাতাদের সাথে কাজের প্রাপ্য অর্থ, সময় ও কাজের বিবরণ নিয়ে শুরুতেই কথা বলে নিতে হয়।

অন্যান্য চাকরীতে যেমন কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির অধীনস্থ হয়ে কাজ করতে হয়, ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি নিজেই একটি কোম্পানির মত কাজ করছেন, যিনি ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস প্রদান করে থাকেন।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?

ফ্রিল্যান্সিং যারা শুরু করতে চান তাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় কোথা থেকে শুরু করবেন তা নিয়ে।

আবার অনেকে নিজের জন্য উপযোগী ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা বেছে নিতে ভুল করেন। কেউ কঠিন দক্ষতা বেছে নিয়ে সামলাতে পারেন না, আবার কেউ খুব বেশি প্রতিযোগীতার ভেতর চলে আসেন।

শুরুর দিকে ভালো দিক নির্দেশনা না পাবার কারণে এমনটি হয়ে থাকে। সঠিক দিকনির্দেশনা পেতে আমাদের স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন পড়তে থাকুন। এই প্রবন্ধের সকল তথ্য পরিক্ষীত ও সফল ফ্রিল্যান্সারদের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা হয়েছে।

ধাপ ১: প্রথমে প্রাথমিক আইসিটি দক্ষতা অর্জন করুন

ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগেই এর ভিত্তি শক্ত করে নেওয়া প্রয়োজন। অনেকের কাছে স্বাভাবিক মনে হতে পারে, তবে এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয় যারা ঠিকভাবে টাইপিং, গুগল সার্চ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, অফিস ম্যানেজমেন্ট কিংবা ইমেইল করার মত বেসিক বিষয়গুলো জানেন না। চলুন বেসিক কিছু আইসিটি দক্ষতা জানা যাক।

  • ইন্টারনেট ব্রাউজিং: ইন্টারনেট ও ব্রাউজারের ব্যবহারের সাথে পরিচিতি ও অভ্যস্ততা।
  • ইমেইল: সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে প্রফেশনালিজম এ ঘাটতি পড়বে।
  • অফিস সফটওয়্যার: এক্সেল, ওয়ার্ড ও পাওয়ার-পয়েন্ট এর মত স্কিল এর মধ্যম জ্ঞান খুবই দরকারি।
  • টাইপিং: বাংলায় নূন্যতম ২৫ শব্দর ও ইংরেজিতে ৪৫ শব্দ প্রতি মিনিটে টাইপ করতে পারার দক্ষতা থাকা উচিৎ।
  • গুগল সার্চ/এআই সার্চ: অনলাইনে আয় করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে সার্চ করে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করতে হয়।

ধাপ ২: ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো সম্পর্কে জানুন

ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করার আগেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের প্রকারভেদ ও তাদের ভেতর সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। প্রাথমিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর দক্ষতা গুলোকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যার ভিতরে আবার অনেক সাব ক্যাটাগরি রয়েছে। এখানে জনপ্রিয় কিছু কাজের উদাহরণ দেয়া হলো:

১। কনটেন্ট ক্রিয়েশন

  • কনটেন্ট রাইটিং
  • ভিডিও তৈরি
  • এনিমেশন তৈরি
  • ভয়েস ওভার

২। ডিজিটাল মার্কেটিং

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (ফেইসবুক এড, গুগল এড)
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • সোশাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং

৩। গ্রাফিক্স ডিজাইন

  • লোগো ডিজাইন
  • টাইপোগ্রাফি
  • ইলাস্ট্রেশন

৪। ওয়েবসাইট সম্পর্কিত কাজ

  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • ওয়েব এপস

এসকল কাজের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেখুন এখানে – ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

ধাপ ৩: আপনার পছন্দ বিশ্লেষণ করুন

যে কাজটা আপনার ভালো লাগে, ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর বেছে নেওয়ার জন্য সেই সেক্টর বেছে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো ও সফল হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই বলে চোখ বন্ধ করে বেছে নেবেন তা নয়। ধরুন আপনি ভালো ইংরেজি লিখতে পারেন। আপনি কনটেন্ট রাইটিং এর একটা দক্ষতা বেছে নিতে পারেন। আবার কমার্সের ছাত্র হলে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার জন্য সুবিধাজনক হতে পারে। কোডিং ভালো লাগলে প্রোগ্রামিং এর দিকে যান।

ধাপ ৪: বাজার বিশ্লেষণ করুন

ফ্রিল্যান্সিং এর কোন একটি দক্ষতা বেছে নেওয়ার আগেই সেই কাজের চাহিদা ও বাজার বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সবসময় কম প্রতিযোগিতা ও বেশি চাহিদা সম্পন্ন স্কিল খুঁজে বের করা চেষ্টা করতে হবে। কোন দক্ষতার প্রতিযোগিতা বেশি হলে চাহিদা ও মূল্য দুটোই দ্রুত কমে আসে, কাজ পাওয়াও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

যেমন ধরুন কনটেন্ট রাইটিং এ খুব বেশি মানুষ ইতিমধ্যে চলে এসেছেন, কিন্তু কপি রাইটিং এ তত বেশি প্রতিযোগীতা নেই। এক্ষেত্রে কপি রাইটিং এর দক্ষতা অর্জনে সময় দিলে সফলতার সম্ভাবনা বাড়বে। ঠিক এভাবেই সব সেক্টরে কিছু কিছু দক্ষতার চাহিদা বেশি থাকে কিন্তু দক্ষ মানুষ কম থাকে। সেগুলো জানার চেষ্টা করুন।

এই বিষয়ে ভালো ধারণা পাওয়ার জন্য আপনি Fiverr বা Upwork এর জব লিস্টগুলো দেখতে পারেন। সেখানে একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে কতজন ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে, তাদের রেট কেমন, তারা কতটা আয় করেছেন, কতজন ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দিয়েছেন এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ধাপ ৫: ফ্রিল্যান্সিং এর প্রয়োজনীয় জিনিস

কোন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ও সেই সেক্টরে কি কি প্রয়োজন হয় সেটা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইনে কিংবা ভিডিও এডিটিং এ শক্তিশালী কম্পিউটার এর প্রয়োজন হয়, অন্যদিকে মার্কেটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং এ তেমন হাই এন্ড কম্পিউটার এর প্রয়োজন হয় না।

আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধু মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। যেমন – কনটেন্ট রাইটিং, সোশাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।

ভেবে বের করুন, কোন দক্ষতা টা আনন্দ সহকারে শিখতে পারবেন, শিখে সহজে কাজ পাবেন ও সেই দক্ষতা শিখে কাজ শুরু করার মত প্রয়োজনীয় জিনিস আপনার আছে কিনা।

ধাপ ৬: শেখা শুরু করুন এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠুন

ক. শুরুটা আজই করুন

ফ্রিল্যান্সিং এর দক্ষতা অর্জনের কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। ফ্রিতে আপনি অনেকটা শিখে নিতে পারবেন। আপনি যে সেক্টর বেছে নিয়েছেন সে সম্পর্কিত ব্লগ পড়ুন, ইউটিউব এর ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখুন। শেখার জন্য কোর্স করা অত্যাবশ্যক নয়, তবে মানসম্মত কোর্স করলে লাভবান হতে পারেন। ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষতা থাকলে আমার মতে বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে কোর্স করার কোন দরকার নেই। পরবর্তী অংশে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব।

খ. নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা অর্জন করুন

শুরুর দিকে আপনার প্রথম কাজ হবে, ছোট ও নির্দিষ্ট কাজের উপর পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করা। ধরুন আপনি একজন নতুন ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান। শুরু করেছেন ৫ মাস হলো। ক্লায়েন্ট কখনো আপনাকে কাজ দিতে চাইবেন না, কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং একটা বিশাল সেক্টর যার পুরেটাতে দক্ষ হওয়া অনেক বছরের ব্যাপার।

তার চেয়ে যদি ছোট কোন স্কিল, যেমন, ফেসবুক বিজ্ঞাপনের উপর বিশেষজ্ঞ হন, খুব সহজেই মানুষ আপনাকে কাজ দিতে পারে। এতে অল্প সময়েই আপনি কাজ খোঁজাও শুরু করতে পারলেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং একটা উদাহরণ হিসেবে ধরুন, সকল সেক্টরেই এমন অসংখ্য সাব সেক্টর আছে যার বাজার চাহিদা ভালো।

গ. দক্ষতা বাড়ান

একটা ছোট কাজে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করার পর, আরো একটি কাজে দক্ষতা বাড়াতে কাজ করুন। দুটি দক্ষতা পরস্পর সম্পর্কিত হলে সহজেই শিখতে পারবেন। এভাবে আপনার দক্ষতার বিষয় বাড়াতে থাকুন। এতে করে খুব বেশি চাপ না নিয়েই আপনি ক্লায়েন্টদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবেন।

ধাপ ৭: ফ্রিতে কাজ করে দিন বা ইন্টার্নশীপ করুন

ফ্রিল্যান্সিং এর স্কিল যতই চর্চা করুন, সত্যিকারের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ শুরু না করলে কখনোই কাজের আসল কাজের ধরণ ব‌োঝা সম্ভব নয়। এটি সমাধান হিসেবে ক্লায়েন্টদের কাছে বিনামূল্যে কাজ করে দেবার সুযোগ চাইতে পারেন। ভালো ক্লায়েন্ট নিজের কাজটি ঠিকমতো করিয়ে নেওয়ার জন্য আপনাকে আপনার ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন।

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং ইন্টার্নশিপ এর সুযোগ পেলে হাতছাড়া করা উচিত নয়। ইন্টার্নশিপ এর মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সাথে শেখা ও কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন। ইন্টার্নশিপ এর জন্য বিভিন্ন জব সাইট ও লিংকডইন এ দেখতে পারেন।

ধাপ ৮: সিভি, পোর্টফোলিও ও স্যাম্পল তৈরি করুন

একজন প্রফেশনাল ও বিশ্বাসযোগ্য ফ্রিল্যান্সারের জন্য সিভি, পোর্টফলিও ওয়েবসাইট ও মানসম্মত স্যাম্পল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

যখন মনে হবে আপনি যথেষ্ট শিখেছেন, কিছু কাজ করে দিয়েছেন বা ইন্টার্নশীপ করেছেন ও ভালো মানের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, তখন সময় দিয়ে একটা সিভি তৈরি করুন। সিভি যেন আপনার ফ্রিল্যান্সিং স্কিল সম্পর্কিত হয় তা মাথায় রাখবেন।

এরপর নিজের সর্বোচ্চ দক্ষতা প্রদর্শন করে প্রফেশনালিজম এর সাথে ৩-৪ টি স্যাম্পল তৈরি করুন। সেই স্যাম্পল গুলো দিয়ে একটা ফ্রি পোর্টফলিও ওয়েবসাইটও তৈরি করতে পারেন। ব্যাস, আপনি যে দক্ষ সেটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি হয়ে গেল।

ধাপ ৯: ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কোথায় পাবেন?

ক. দেশী মার্কেট

শুরুতেই দেশী মার্কেটে কাজ করাই সবচেয়ে সহজ। ফেসবুক গ্রুপ এবং লিংকডইন লক্ষ্য রেখে এপ্লাই চালিয়ে গেলে কাজ পেতে খুব বেশি দেরী হবে না। দেশীয় কাজ গুলো সর্বোচ্চ যত্নের সাথে করুন। কারণ এই কাজ গুলোই আপনাকে পরবর্তীতে পোর্টফোলিও হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

খ. ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম ও সরাসরি যোগাযোগ

যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও ভালো স্যাম্পল তৈরি হলে Upwork বা Freelancer এর মত সাইটে একাউন্ট খুলে কাজ পেতে পারেন। কিংবা নিজের ওয়েবসাইট থেকে ও লিংকডইন এর মাধ্যমে সরাসরি ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করে বা ফেসবুকে মার্কেটিং করেও বায়ার পেতে পারেন।

আপনার দক্ষতা থাকলে কাজ পাওয়ার উপায়ের কোন অভাব নেই, কিন্তু সত্যিকারের দক্ষ হয়ে ওঠা ও বাজারের সাথে নিজেকে আপডেট রাখাই সত্যিকারের চ্যালেজ্ঞ। তার জন্য অবশ্যই সময় ও শ্রম দিতে হয়।

টাকা ছাড়া কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব?

বর্তমান পৃথিবী হলো উন্মুক্ত তথ্যের পৃথিবী, এমন খুব কম স্কিল আছে যা আপনি নিজে থেকে শিখতে পারবেন না। শুধু কি সার্চ করবেন, কি কি শিখতে হবে সেটুকু জানলেই আপনি যেকোনো দক্ষতার ৮০% অর্জন করতে পারেন। আর বাকী ২০% আসবে অভিজ্ঞতা থেকে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার গুরুত্বপূর্ণ সোর্স গুলো হলো:

  1. বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম
  2. ইউটিউব
  3. বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি ব্লগ
  4. আন্তর্জাতিক কোর্স প্লাটফর্ম
    1. Skillshare
    2. Coursera
    3. Google Skill Shop

তবে শেখার জন্য শুধু বাংলা টিউটোরিয়ালের উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত না। এতে শেখায় অনেক ঘাটতি থেকে যেতে পারে। তাই ইংরেজি দক্ষতা দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। কারণ ইংরেজিতে মোটামুটি দক্ষতা ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে ঢোকা ও টিকে থাকা সম্ভব হয় না।

আশা করি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ভেবে ভেবে যারা দিশেহারা হচ্ছিলেন, তারা তাদের উত্তর পেয়েছেন। ভবিষ্যতে আপনার সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করি।

Author

মুরাদ খান (Murad Khan) এর ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আলাদা আগ্রহ আছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনে ভালো পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করতে ভালোবাসেন। । কর্মজীবন শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে, পরে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দেন। নিজের চেষ্টায় অর্জন করেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন দক্ষতা। কাজ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহী মানুষের জীবন মান উন্নয়নে। এই লক্ষ্যেই বিডি আইসিটি ক্লাবের প্রতিষ্ঠা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!