বর্তমান সময়ে প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে। কিন্তু অনেকেই ভাবেন যে, কেবলমাত্র ল্যাপটপ/ডেক্সটপ দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব।
আসলে এটি একটি ভুল ধারণা। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে এমন অনেক কাজ আছে যা শেখার জন্য এবং করার জন্য ল্যাপটপ বা পিসির দরকার পড়ে না, মোবাইলে সম্ভব। তবে, এর জন্য প্রয়োজন দক্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রম।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো – এটাই যদি আপনার মনের প্রশ্ন হয় তাহলে চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
![মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো [২০২৪] 1 মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো](https://bdictclub.net/wp-content/uploads/2023/10/unnamed-file-4.png)
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?
অনলাইন থেকে আমরা খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারি । যেমনঃ
১. ইউটিউব দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারি
ইউটিউব থেকে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং শিখা যায়। ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় যা দেখে শিখতে পারি।
ইউটিউবে গিয়ে যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চান সে বিষয়ে ভালো টিউটোরিয়াল সার্চ করে খুঁজে নিন। সেখান থেকে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
২. ব্লগ সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারি
ব্লগ সাইট থেকেও ফ্রিল্যান্সিং শিখা যায়। প্রথমে মোবাইল থেকে যেকোনো একটি ব্রাউজার খুলে গুগুলে যান।
সেখানে আপনার দক্ষতার বিষয় লিখে সার্চ করুন এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ব্লগ পড়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
৩. কোর্সের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারি
কোর্সের এর মাধ্যমে শিখার জন্য প্রথমে অবশ্যই একটি ভালো প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চান এবং আগ্রহ আছে সে বিষয় নিয়ে কোর্স করতে পারেন।
আপনি যদি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে ভুল করেন, তবে আপনার টাকা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কোনটা কোথেকে শিখবেন এ বিষয়ে একটু পরেই বিস্তারিত বলছি। কিন্তু শিখার আগে মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অনেক ধৈর্য রাখতে হবে।
অনেক মনোযোগ দিয়ে আগ্রহের সাথে কাজ শিখতে হবে। তাহলেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে এবং ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
মোবাইল দিয়ে কি কি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যায় এবং শিখার উৎস ?
মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যায়। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় কাজ হল:
- কনটেন্ট রাইটিং
- কাস্টমার সাপোর্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- ফোরাম পোস্টিং
- ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন
- ফটোগ্রাফি থেকে ইনকাম
১. কনটেন্ট রাইটিং
যাদের লেখালেখি করতে ভালো লাগে তারা অনলাইনে লেখালেখির মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। আর আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই আপনি লেখালেখি করতে পারবেন।
অনলাইনে লেখালেখির কাজটা বিভিন্নভাবে করা যায়। যেমন- ব্লগ পোস্ট কন্টেন্ট, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, ইমেইল এর জন্য কন্টেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য কন্টেন্ট ইত্যাদি।
মোবাইলে লেখালেখির জন্য বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা যায়, যেমন Google Docs, WPS Office, iA Writer, Microsoft office word ইত্যাদি।
মোবাইলের মাধ্যমে কনটেন্ট রাইটিং শেখার জন্য এই কোর্সগুলো দেখতে পারেন-
- Content Writing এর Step by Step Guidelines
- আর্টিকেল রাইটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং – লেসন ১
- আর্টিকেল রাইটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং – লেসন ২
- আর্টিকেল রাইটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং – লেসন ৩
- আর্টিকেল রাইটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং – লেসন ৪
- আর্টিকেল রাইটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং – লেসন ৫
২. কাস্টমার সাপোর্ট
কিছু কিছু কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের সেবা প্রদানের জন্য কাস্টমার সাপোর্টের দরকার হয়। তখন তারা আপনাকে একটি নাম্বার দিবে এবং সেই নাম্বার দিয়ে আপনাকে তাদের গ্রাহকদের সাথে কথা বলতে হবে ।
তাদের কাস্টমারের সমস্যা, তাদের যে প্রশ্ন গুলো থাকে সেগুলোর উত্তর দিবেন। আপনি তাদের সাথে ইমেইল, চ্যাট, বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও যোগাযোগ করতে পারবেন। এই কাজটি আপনি ঘরে বসে আপনার মোবাইল ফোন দিয়েই করতে পারবেন।
কাস্টমার সাপোর্টে কাজ করতে হলে এই দক্ষতাগুলো লাগবে –
- সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
- যোগাযোগের দক্ষতা
- সুন্দর এবং স্পষ্ট ভাবে কথা বলা
- ভাষাগত দক্ষতা
- টেকনিক্যাল জ্ঞান
- ধৈর্য
কাস্টমার সাপোর্ট বিষয়ক কিছু কোর্স-
৩. গ্রাফিক্স ডিজাইন
শুধু পিসি বা ল্যাপটপ দিয়ে না বরং মোবাইল দিয়েও গ্রাফিক্স ডিজাইন করা সম্ভব। মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন করা যায়, যেমনঃ লোগো, ব্যানার, প্রেজেন্টেশন, ইত্যাদি।
মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ পাওয়া যায়, যেমন Canva, Adobe Photoshop Express, PixelLab, ইত্যাদি। এই অ্যাপগুলো দিয়ে আপনি খুব সুন্দর করে ডিজাইন করতে পারবেন।
মোবাইলের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য এই কোর্সগুলো দেখতে পারেন-
- যেভাবে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন করবেন
- মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন
- মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন (কমপ্লিট কোর্স)
৪. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমরা জানি ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি।
আর সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে সেই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোকে ম্যানেজ করা। যেমনঃ কোনো কম্পানির ফেইসবুক পেজে নিয়মিত পোস্ট দেওয়া, কাস্টমারদের মেসেজ এর উত্তর দেওয়া ইত্যাদি।
মুলত সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে এই ধরনের কাজ থাকে যা মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব।
মোবাইলের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য এই কোর্সগুলো দেখতে পারেন-
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ১
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করুন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ কিভাবে করবেন
৫. ফোরাম পোস্টিং
ফোরাম পোস্টিং হল একটি অনলাইন মার্কেটিং কৌশল যা বিভিন্ন ফোরামে পোস্ট তৈরি এবং শেয়ার করে একটি পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করে।
ক্লায়েন্ট যেকোনো একটি পণ্যের ফোরামের লিস্ট দিবে অথবা সেই লিস্ট গুলো আপনাকে খুজে বের করতে হবে। আপনাকে সেই পণ্যটি প্রমোট করতে হবে বিভিন্ন ফোরামে।
আপনাকে সেই পণ্য রিলেটেড যত ধরনের ফোরাম রয়েছে সবগুলো ফোরামের একটি লিস্ট করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে কমেন্ট বা পোস্ট করতে হবে।
কমেন্ট বা পোস্ট করার আগে বিভিন্নভাবে ফোরাম প্রোফাইল গ্রো করতে হবে। সুতরাং এই বিষয়গুলো মূলত ফোরাম পোস্টিং এর কাজ।
৬. ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন
মোবাইলে বিভিন্ন ভাষার মধ্যে অনুবাদ করা যায়। যেমনঃ ইংলিশ টু বাংলা, বাংলা টু হিন্দি ইত্যাদি। এভাবে বিভিন্ন ভাষা অনুবাদ করে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
তবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই উভয় ভাষা জানতে হবে। যদি শুধুমাত্র ট্রান্সলেটরের উপর নির্ভর করেন তবে সেটা দীর্ঘমেয়াদে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবেনা। এজন্য আপনি বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হতে পারেন।
৭. ফটোগ্রাফি থেকে ইনকাম
মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলে সেই ছবি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়। এটি অনলাইন থেকে ইনকাম করার একটি সহজ মাধ্যম।
কিন্তু ভালো মানের ছবি তোলার জন্য একটি ভালো মানের স্মার্ট ফোন লাগবে এবং সেই সাথে আপনার সুন্দর ছবি তোলার দক্ষতা থাকতে হবে।
ছবি তোলার জন্য যে দক্ষতাগুলো প্রয়োজন –
- ক্যামেরা এবং এর সেটিংস সম্পর্কে জ্ঞান
- লাইটিং সম্পর্কে জ্ঞান
- কম্পোজিশন সম্পর্কে জ্ঞান
- সৃজনশীলতা
- ধৈর্য
ফটোগ্রাফি থেকে ইনকাম করার জন্য এই ভিডিও গুলো দেখতে পারেন-
- যেকোনো ফোনেই হবে পারফেক্ট ফটোগ্রাফি
- স্মার্টফোন দিয়ে ফটোগ্রাফি করার ট্রিকস!
- মোবাইল ফোনে ভালো ছবি তোলার সাত টিপস
কিভাবে কাজ পাবো?
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রথমে নিজের একটি সোশাল প্রোফাইল বা পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটে তৈরি করতে পারেন। তারপর ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলোতে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে।
প্রোফাইলে নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং কাজের নমুনা উল্লেখ করতে হবে। এরপর কাজ অনুসন্ধান করে আবেদন করতে হবে। ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ পেলে সেটি ভালোভাবে সম্পন্ন করে সময় মতো জমা দিতে হবে।
অনেকগুলো মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়-
১. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী সন্দর একটা প্রোফাইল সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি করে নিবেন।
এছাড়াও, আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে কাজ খুঁজে পেতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন কাজের অফার দেওয়া হয়। সেখান থেকে নিজের পছন্দমত কাজ পেতে পারেন।
২. ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
আপনি মোবাইল দিয়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে কাজ পেতে পারেন। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট হলঃ
- Upwork.com
- Fiverr.com
- Freelancer.com
- Guru.com
- Peopleperhour.com
এই সাইটগুলোতে প্রথমে একটা একাউন্ট খুলে নিতে হবে। এরপর সুন্দর করে প্রোফাইল সাজাতে হবে।
৩. লিংকডইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং
লিংকডইন হচ্ছে একটা প্রফেশনাল প্ল্যাটফর্ম। যেখানে ছোট-বড় সব ধরনের কোম্পানীগুলোর জব খুঁজে পাওয়া যায়। ছোট বড় অনেক ক্লায়েন্ট ও পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে লিংকডইনে একটা সুন্দর প্রফেশনাল প্রোফাইল বানাতে হবে এবং যথাযথভাবে যোগাযোগ করতে হবে। এতে কাজ পেতে অনেক সহজ হবে।
কারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে?
যেকোনো বয়সের, যে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং যেকোনো অভিজ্ঞতা ব্যক্তিরা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে।
যারা ঘরে বসে কাজ করতে চান এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান, যাদের ধৈর্য আছে, আগ্রহ আছে তাদের জন্য এটি অন্যতম।
তবে, কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা এবং জ্ঞান থাকলে ফ্রিল্যান্সিং এ সাফল্য অর্জন করা সহজ হয়। পাশাপাশি লাগবে প্রচুর ধৈর্য।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে কি প্রয়োজন হবে?
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে একটি ভালো মানের স্মার্টফোন প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য মোবাইল ডিভাইসের স্পেসিফিকেশন ভালো হওয়া উচিত।
একটি ভালো ক্যামেরা, লং টাইম ব্যাটারি, মোটামোটি বড় স্ক্রিন, প্রসেসর, এবং মেমরি।
পাশাপাশি ভালো ইন্টারনেট কানেকশন ও প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপ এবং সফটওয়্যার ইনস্টল করা উচিত।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু সুবিধা হল:
- বহনযোগ্য, তাই আমরা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারি।
- এর দ্বারা সহজে যোগাযোগ করা যায়।
- তথ্য অ্যাক্সেস এর একটি সহজ উপায় ।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু অসুবিধা হল:
- ছোট স্ক্রিন হওয়াতে অনেক ক্ষেত্রে কাজ করা কঠিন হয়
- স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে
- কাজ করতে বেশি সময় লাগতে পারে
- বড় বা কঠিন প্রজেক্ট হলে সমস্যার পড়তে হতে পারে
- একই সাথে অনেকগুলো এ্যাপসে কাজ করা যায় না
- মোবাইলের উপর নির্ভর করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং চালিয়ে যেতে পারবেন না। একসময় কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে।
শেষ কথা
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা এবং ইনকাম করা দুটাই সম্ভব। তবে, সফল হওয়ার জন্য আপনাকে দক্ষতা বাড়াতে হবে, অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে, অনেক ধৈর্য রাখতে হবে এবং ভাল কাজ করে ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরণ করতে হবে। তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন।
এভাবে মোবাইলে কাজ করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে আর্থিক উন্নতি হলে ভালো কম্পিউটার কিনে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আরো ভালো কাজ করতে পারবেন।
Author
মুরাদ খান (Murad Khan) এর ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আলাদা আগ্রহ আছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনে ভালো পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করতে ভালোবাসেন। । কর্মজীবন শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে, পরে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দেন। নিজের চেষ্টায় অর্জন করেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন দক্ষতা। কাজ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহী মানুষের জীবন মান উন্নয়নে। এই লক্ষ্যেই বিডি আইসিটি ক্লাবের প্রতিষ্ঠা।