fbpx

সেরা ১০টা কম্পিউটার কোর্স যা আপনার জীবন পাল্টে দিতে পারে

বর্তমান যুগে কম্পিউটারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। শিক্ষা, ব্যবসা, বিনোদন, যোগাযোগ, এমনকি দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়ছে। আপনার যদি কম্পিউটার বিষয়ক দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনার জন্য চাকরির অভাব হবে না।

এই আর্টিকেলে আমরা সেরা ১০ টি কম্পিউটার কোর্স নিয়ে কথা বলবো।

সেরা কম্পিউটার কোর্স

সেরা ১০ টি কম্পিউটার কোর্স

  • বেসিক কম্পিউটার কোর্স
  • অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্স
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • অ্যানিমেশন কোর্স
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স
  • ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট
  • ক্লাউড কম্পিউটিং কোর্স
  • কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেটওয়ার্কিং

বেসিক কম্পিউটার কোর্স

কম্পিউটার কোর্স শিখতে হলে সবার আগে বেসিক বিষয়গুলো জানতে হবে। এই কোর্স করার জন্য তেমন কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই, সবাই কোর্সটি করতে পারে। বেসিক কম্পিউটার কোর্সের মেয়াদ সাধারণত ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত হয়।

বেসিক কম্পিউটার কোর্সে যে যে বিষয় থাকেঃ

১। কম্পিউটারের মৌলিক ধারণা

যেমনঃ কম্পিউটার কী? কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ কী কী? কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে?

২। কম্পিউটারের সফটওয়্যার

কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার, যেমন অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, ইত্যাদি সম্পর্কে শেখানো হয়।

৩। কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহার

ওএস (Operating System) ব্যবহারের মৌলিক বিষয় যেমনঃ Windows, MacOS, বা Linux ইত্যাদি।

৪। ইন্টারনেট

ইন্টারনেটের বিভিন্ন বিষয়, যেমন ওয়েব ব্রাউজিং, ইমেল, সোশ্যাল মিডিয়া, ইত্যাদি সম্পর্কে শেখানো হয়।

৫। মাইক্রোসফট অফিস

মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজ, যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট, ইত্যাদি ব্যবহার করার বিষয়ে শেখানো হয়।

বেসিক কম্পিউটার শিখার জন্য এই কোর্সগুলো করতে পারেনঃ

অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্স

অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্স হল মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজ, যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট, ইত্যাদি ব্যবহার করার বিষয়ে শেখানো একটি কোর্স।

এই কোর্সগুলিতে বিভিন্ন ধরনের অফিস অ্যাপ্লিকেশনের মৌলিক বিষয়গুলি থেকে শুরু করে সকল ধরনের বিষয় শেখানো হয়। এই কোর্সটির মেয়াদ ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত হয়। এই কোর্সগুলি অফিসের কাজে প্রয়োজনীয় সকল কাজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা হয়।

অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্সে যে যে বিষয় থাকেঃ

১। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড

এখানে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট তৈরি, এডিট, এবং ফরমেট করার বিষয়ে শেখানো হয়।

২। মাইক্রোসফট এক্সেল

স্প্রেডশীট তৈরি, ডেটা এন্ট্রি, ফরমুলা ব্যবহার, চার্ট ও গ্রাফ তৈরি ইত্যাদি শেখানো হয়।

৩। মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট

প্রেজেন্টেশন তৈরি, ডিজাইন এবং স্লাইড ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে শেখানো হয়।

৪। মাইক্রোসফট আউটলুক

ইমেইল, ক্যালেন্ডার, এবং যোগাযোগের বিষয়ে শেখানো হয়।

৫। মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস

ডাটাবেস তৈরি, এডিট, এবং অ্যাক্সেস করার বিষয়ে শেখানো হয়।

৬। ইমেল ও ইন্টারনেট ব্যবহার

ইমেইল করা, ফাইল অ্যাটাচ করা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদি।

৭। ডকুমেন্টেশন এবং রিপোর্ট লেখা

ভালো ডকুমেন্টেশন স্কিল, রিপোর্ট তৈরি ইত্যাদি।

অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্স শিখার জন্য এই কোর্সগুলো করতে পারেনঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স

এখন সব জায়গায় গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এর চাহিদা প্রচুর। গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি শিল্প যা কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে চিত্র এবং ডিজাইন তৈরি করে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা গ্রাফিক্স, টাইপোগ্রাফি, ছবি, এবং অন্যান্য উপাদানগুলিকে একত্রিত করে এমন নকশা বা ডিজাইন তৈরি করে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই কোর্সগুলো অফলাইনে নিয়ে থাকে আবার অনলাইনেও নিয়ে থাকে। এই কোর্সের মেয়াদ ৩ মাস থেকে ১ বছরের মত হয় ।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্সে যে যে বিষয় থাকেঃ

১। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মূলনীতি ও কৌশল

এই বিষয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন মূলনীতি, যেমন ভারসাম্য, গুরুত্ব, গতিশীলতা, ইত্যাদি সম্পর্কে শেখানো হয়।

২। গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপাদান

গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন উপাদান, যেমন রঙ, আকার, ফর্ম, ইত্যাদি সম্পর্কে শেখানো হয়।

৩। গ্রাফিক্স ডিজাইনের সফটওয়্যার

গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন সফটওয়্যার, যেমন Adobe Photoshop, Adobe Illustrator, এবং Adobe InDesign সম্পর্কে শেখানো হয়। মূলত এই সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করেই ডিজাইন করা হয়।

৪। টাইপোগ্রাফি:

এই বিষয়ে বিভিন্ন ফন্টের ব্যবহার, লেটারিং স্টাইল, ডিজাইন এসেন্স এবং স্পেসিং সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

৪। গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রয়োগ

গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রয়োগ, যেমন বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ডিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ইত্যাদি সম্পর্কে শেখানো হয়।

৫। গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন শাখা:

যেমন লোগো ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, বিজ্ঞাপন, প্রকাশনা, টি-শার্ট ডিজাইন, ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

একজন অভিজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাসে ৪০ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করলে ৫০০ ডলার থেকে শুরু করে ৫,০০০ ডলার বা তারও বেশি ইনকাম অর্জন করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স শিখার জন্য এই কোর্সগুলো করতে পারেনঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

ডিজিটাল পদ্ধতি যেমন-সোশাল মিডিয়া, ভিডিও চ্যানেল, গুগল এডস, ফেইসবুক এডস, ডিজিটাল সার্ভে, ওয়েবসাইট এসইও, ইমেইল ইত্যাদি ব্যবহার করে পণ্য, সেবা বা কোম্পানির প্রচার ও বিক্রির কাজটাই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস থেকে ১ বছরের মতো সময় লাগে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে যে যে বিষয় থাকেঃ

১। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি, যেমন ফেসবুক, টুইটার, এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে মার্কেটিং।

২। ইমেল মার্কেটিং

ইমেল মার্কেটিং টুল ব্যবহার, ইমেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা, ইমেল এনালিটিক্স।

৩। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)

ওয়েবসাইটগুলোতে সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল পৃষ্ঠার (SERPs) শীর্ষে স্থান অর্থাৎ প্রথম পেজে আনার জন্য অপ্টিমাইজ করা।

৪। পে-পার ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট (PPC)

গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস, অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে পেই-পার বিজ্ঞাপন, বুস্ট পোস্ট।

৫। ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি

বিশেষ প্রকল্প, প্রচারণা এবং ব্র্যান্ড প্রোমোশনের স্ট্র্যাটেজি।

সাধারণত, একজন ডিজিটাল মার্কেটারের বেতন তার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। আর একজন অভিজ্ঞ ডিজিটাল মার্কেটারের বেতন প্রতি মাসে 50,000 থেকে 100,000 টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

এছাড়াও, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন, তাহলে আপনি আপনার দক্ষতা এবং কাজের পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্রতি মাসে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শিখার জন্য এই কোর্সগুলো করতে পারেনঃ

অ্যানিমেশন কোর্স

আমরা টিভিতে, ইউটিউবে যে কার্টুনগুলো দেখি সেগুলোকেই অ্যানিমেশন বলে। বর্তমানে অ্যানিমেশন কাজের চাহিদা অনেক। আপনি অ্যানিমেশন জানলে শুধু চাকরি না বরং আপনি ঘরে বসেও ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যানিমেশন কোর্সের সময়সীমা প্রতিষ্ঠান এবং কোর্সের ধরন অনুসারে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, এই কোর্সগুলোর মেয়াদ ৩ মাস থেকে ৩ বছরের মত হয়।

অ্যানিমেশন কোর্সে যে যে বিষয় থাকেঃ

১। অ্যানিমেশন প্রিন্সিপাল

অ্যানিমেশনের মৌলিক সিদ্ধান্ত, অ্যানিমেশনের কার্যকারীতা, সংলাপের ভাবনা ইত্যাদি সম্পর্কে শিখানো হয়।

২। স্টোরি বোর্ড ডিজাইন

অ্যানিমেশনের কাহিনীবোর্ড তৈরি এবং প্রস্তুতির প্রক্রিয়া নিয়ে শিখানো হয়।

৩। চিত্র এডিটিং এবং পোস্ট-প্রোডাকশন

অ্যানিমেশনের পরিষ্কারতা, অল্পাংশ যোগ করা, ভিডিও সম্পাদনা ইত্যাদি শেখানো হয়।

৪। প্রোফেশনাল অ্যানিমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার

প্রোফেশনাল অ্যানিমেশনে ব্যবহৃত সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যেমন Adobe After Effects, Autodesk Maya, Cinema 4D, Blender ইত্যাদি।

৫। সাউন্ড ডিজাইন এবং ইফেক্ট

অ্যানিমেশনের জন্য উচ্চারণ, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, সাউন্ড ইফেক্ট সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

৬। স্টোরিটেলিং এবং স্ক্রিপ্ট লেখা

ভালো কাহিনী তৈরি করার কৌশল, স্ক্রিপ্ট লেখা এবং অ্যানিমেশনের জন্য সুত্তাঁকা স্ক্রিপ্টিং শিখানো হয়।

৭। অ্যানিমেশন প্রোডাকশনের প্রক্রিয়া

প্রোডাকশনের প্রক্রিয়া পরিচিত করানো হয় যেমন প্রস্তুতিকরণ থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট প্রোজেক্টের বিতর্কিত বিশ্লেষণ।

অ্যানিমেশন কোর্স করে একজন অ্যানিমেটরের মাসিক বেতন সাধারণত 30,000 টাকা থেকে শুরু হয়। তবে, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে এই বেতন আরও বেশি হতে পারে।

অ্যানিমেশন কোর্স শিখার জন্য এই কোর্সগুলো করতে পারেনঃ

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স

একটি ব্যবসার প্রচারের জন্য একটি স্থিতিশীল ওয়েবসাইট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি স্থিতিশীল ওয়েবসাইট হল এমন একটি ওয়েবসাইট যা দ্রুত লোড হয়, ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং সবসময় অনলাইনে থাকে।

এটি ব্যবসার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে, পণ্য বা পরিষেবাগুলি প্রদর্শন করে এবং গ্রাহকদের যোগাযোগ করার সুযোগ দেয়।

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কোর্স এর মেয়াদ সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছরব্যাপী হয়। তবে এ বিষয়ে দক্ষ হতে আপনাকে ১-২ বছর সময় দেয়া লাগতে পারে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট যে যে বিষয় থাকেঃ

HTML

ওয়েব পেজের স্ট্রাকচার এবং কন্টেন্ট প্রদান করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

CSS

ওয়েবসাইটের লক্ষ্য অনুযায়ী স্টাইল এবং লেআউট প্রয়োগ করা।

JavaScript

ডাইনামিক ওয়েব পেজ তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

Bootstrap

রেসপন্সিভ ওয়েব ডিজাইন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

jQuery

JavaScript প্রোগ্রামিং ভাষার একটি লাইব্রেরি, ডম ম্যানিপুলেশন এবং ইভেন্ট হ্যান্ডলিং সহ ব্যবহৃত হয়।

PHP

ডাইনামিক ওয়েব পেজ তৈরির জন্য সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং ভাষা।

MySQL

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সহ ডাটাবেস সংরক্ষণ এবং প্রবাহ সম্পর্কিত জ্ঞান সম্পর্কিত শিখানো হয়।

Responsive Design

বিভিন্ন ডিভাইসে ওয়েবসাইটের প্রদর্শন সম্পর্কে শিখানো হয়।

Version Control/Git

কোড ম্যানেজমেন্ট এবং টুল ব্যবহার করে টিম ওয়ার্ক সহজ করা।

Frameworks

বিভিন্ন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স করার পর, একজন ওয়েব ডেভেলপার এর মাসিক বেতন সাধারণত ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে, এই পরিমাণ বেতন অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে আরও বাড়ে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখার জন্য এই কোর্সগুলো করতে পারেনঃ

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স

সাধারণত স্মার্টফোন বা মোবাইলে ব্যবহার করার জন্য যে অ্যাপ বানানো হয়, সেগুলো হচ্ছে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ। এই কাজের চাহিদাও ব্যাপক।

এই কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে হয়। কিন্তু একজন প্রফেশনাল অ্যাপ ডেভোলপার হতে ২ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়।

এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট যে যে বিষয় থাকেঃ

১। প্রোগ্রামিং ভাষা

জাভা, সি++, সুইফ্ট, কোটলিন ইত্যাদি ভাষার প্রয়োগ এবং ব্যবহার।

২। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম

অ্যান্ড্রয়েড বা iOS এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্ল্যাটফর্ম।

৩। ইন্টারফেস ডিজাইন

অ্যাপ ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন করার পদ্ধতি।

৪। ডেভেলপমেন্ট টুলস

ডেভেলপমেন্ট টুলস এবং ইনটিগ্রেশন প্লাটফর্ম ব্যবহার করা।

৫। সফটওয়্যার টেস্টিং এবং ডিবাগিং

অ্যাপ ফাংশনালিটি পরীক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ।

৬। ডেভেলপমেন্ট স্ট্রাটেজি

অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের জন্য গাইডলাইনস এবং রূপরেখার পদ্ধতি।

৭। সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি

অ্যাপ ডেটা সিকিউরিটি এবং ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি সম্পর্কে জ্ঞান সংগ্রহ।

একজন অ্যাপ ডেভেলপারের বেতন তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে। একজন নতুন অ্যাপ ডেভেলপারের বেতন সাধারণত প্রতি মাসে ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

আর একজন অভিজ্ঞ অ্যাপ ডেভেলপারের বেতন প্রতি মাসে ১,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখার জন্য এই কোর্সগুলো করতে পারেনঃ

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স বর্তমানে একটি জনপ্রিয় কোর্স। এই কোর্সটি করে অনেকে ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে সক্ষম হয়েছে।

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট হল এমন একটি প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে ডাটা সংরক্ষণ, পরিচালনা, এবং অ্যাক্সেস করা হয়। ডাটাবেস হল তথ্যের একটি সংগঠিত সংগ্রহ যা অ্যাপ্লিকেশনগুলি দ্বারা ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) হল এমন সফ্টওয়্যার যা ডাটাবেস তৈরি, পরিচালনা, এবং অ্যাক্সেস করতে ব্যবহৃত হয়। এই কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত হয়।

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট যে যে বিষয় থাকেঃ

১। ডাটাবেস সিস্টেম এবং থিওরি

ডাটাবেসের মূল ব্যাপারে জ্ঞান এবং থিওরেটিক্যাল সাধারণ ধারণা।

২। ডাটাবেস ডিজাইন

ডাটাবেস স্ট্রাকচার ডিজাইন করার পদ্ধতি, এন্টিটি-রিলেশনশিপ মডেলিং, ডাটাবেস নর্মালিজেশন।

৩। SQL বা ডাটাবেস ভাষা

SQL বা অন্যান্য ডাটাবেস প্রোগ্রামিং ভাষার জন্য কৌশল।

৪। ডাটাবেস অপারেশন

ডাটাবেসে ডাটা ইনসার্ট, ডিলিট, আপডেট, রিট্রিভাল এবং অন্যান্য অপারেশনাল কাজের দক্ষতা।

৫। ডাটাবেস সিকিউরিটি

ডাটাবেসের সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি মেনে চলার কৌশল এবং ব্যাকআপ মেকিং প্রক্রিয়া।

৬। ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন

ডাটাবেস সার্ভারের প্রশাসন এবং ম্যানেজমেন্ট করার পদ্ধতি।

৭। ডাটাবেস প্রদর্শন ও রিপোর্টিং

ডাটাবেস থেকে তথ্যের প্রদর্শন এবং রিপোর্ট তৈরির পদ্ধতি।

৮। ডাটাবেস মডেলিং

ডাটাবেস মডেল তৈরি করার প্রক্রিয়া এবং ডাটাবেসের অনুসারে বিশেষ কাস্টমাইজেশন।

৯। ডাটাবেস স্কেলিং এবং পারফর্মেন্স

ডাটাবেস স্কেলিং এবং পারফর্মেন্স বৃদ্ধির পদ্ধতি।

১০। ডাটাবেস মাইগ্রেশন এবং ইন্টেগ্রেশন

ডাটাবেসের মাইগ্রেশন এবং ইন্টেগ্রেশনের পদ্ধতি।

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স শেষ করার পর ডাটাবেস এডমিনিস্ট্রেটর বা ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কাজে যুক্ত হলে, সাধারণত ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা মাসিক বেতন পাওয়া সম্ভব। তবে, অভিজ্ঞতা এবং কাজের দক্ষতা বাড়ানোর পরে এই বেতন আরও বাড়তে পারে।

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট কোর্স শিখার জন্য এই কোর্সগুলো করতে পারেনঃ

ক্লাউড কম্পিউটিং কোর্স

ক্লাউড কম্পিউটিং হল একটি কম্পিউটিং মডেল যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাক্সেসযোগ্য কম্পিউটিং রিসোর্সগুলি সরবরাহ করে। এই রিসোর্সগুলির মধ্যে রয়েছে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং ,স্টোরেজ ইত্যাদি।

যদি আপনি একজন পেশাদার ক্লাউড কম্পিউটিং বিশেষজ্ঞ হতে চান, তাহলে ১ বছরের কোর্স করার প্রয়োজন হবে।

ক্লাউড কম্পিউটিং যে যে বিষয় থাকেঃ

১। ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম

ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম এবং সেবার ব্যবহার শিখা।

২। ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিসের পরিচিতি

পাবলিক, প্রাইভেট, হাইব্রিড সার্ভিসের পরিচিতি।

৩। ক্লাউড নেটওয়ার্কিং

ক্লাউড নেটওয়ার্ক এবং কনফিগারেশন।

৪। ডাটা সিকিউরিটি

ক্লাউড সিকিউরিটি প্রযুক্তি এবং সিকিউরিটি মেশিনিজম।

৫। ক্লাউড ডাটা স্টোরেজ

ডাটা স্টোরেজ মডেল, ডাটা এনক্রিপশন, ডাটা মাইগ্রেশন ইত্যাদি।

৬। ক্লাউড এ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট

অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য ক্লাউড টুলস এবং প্ল্যাটফর্ম।

৭। ক্লাউড সার্ভার ম্যানেজমেন্ট

ক্লাউড সার্ভার সেটআপ, পরিচালনা, এবং মেনেজমেন্ট পদ্ধতি।

৮। ক্লাউড বিশ্লেষণ

ডাটা বিশ্লেষণ টুলস, মেশিন লার্নিং, বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া।

ক্লাউড কম্পিউটিং কোর্স শেষ করার পর, কেন্দ্রিক কাজের মাধ্যমে ব্যক্তি প্রতি মাসে ৩৫,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা আয় করতে পারেন। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ানোর পর এই ইনকাম আরও বেশি হতে পারে।

ক্লাউড কম্পিউটিং কোর্স শিখার জন্য এই কোর্সগুলো করতে পারেনঃ

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেটওয়ার্কিং

তথ্য প্রযুক্তির যুগে হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন পেশা। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও নেটওয়ার্কিং কোর্স ব্যাবহার হয় কম্পিউটার সিস্টেমের কাঠামো, হার্ডওয়্যার সংস্করণ, নেটওয়ার্ক ডিজাইন, প্রসারণ এবং বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার প্রসারণ ও নেটওয়ার্ক সংজ্ঞানের জন্য শিক্ষার সুযোগ সরবরাহ করে।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেটওয়ার্কিং কোর্সগুলোর সময়সীমা প্রতিষ্ঠান এবং কোর্সের ধরন অনুসারে হয়।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেটওয়ার্কিং যে যে বিষয় থাকেঃ

১। হার্ডওয়্যার ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট

নতুন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ডিজাইন এবং তার উন্নত সংস্করণ বানানো এবং ডেভেলপ করা।

২। হার্ডওয়্যার প্রতিস্থাপন ও মেইনটেনেন্স

হার্ডওয়্যার প্রতিস্থাপন এবং তা মেনে চালানো, ইলেকট্রনিক্স কিউরিটি ও অ্যাসেম্বলিং এর টেস্ট করা।

৩। হার্ডওয়্যার সংস্করণ ও নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের আপগ্রেড

নতুন হার্ডওয়্যার সংস্করণ বা নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের আপগ্রেড করা।

৪। নেটওয়ার্কিং কোর্স

নেটওয়ার্ক ডিজাইন, নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি, রাউটিং এবং সুইচিং প্রোটোকল, সার্ভার ম্যানেজমেন্ট, সংগঠিত নেটওয়ার্ক প্রস্তুতি এবং নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেটওয়ার্কিং সেক্টরে চাকরির সুযোগও প্রচুর। তাই, এই সেক্টরে দক্ষ হওয়ার মাধ্যমে আপনি ভালো চাকরি পেতে পারেন এবং ভালো মানের আয় করতে পারেন।

একজন নতুন প্রোফেশনালের বেতন সাধারণত প্রতি মাসে ৩৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বেতনও বাড়তে থাকে।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেটওয়ার্কিং কোর্স শিখার জন্য এই কোর্সগুলো করতে পারেনঃ

শেষ কথা

এই কম্পিউটার কোর্সগুলো আপনার জীবন পাল্টে দিতে পারে। আপনি এই কোর্সগুলো খুব সহজে কোনো কম্পিউটার ইনস্টিটিউট থেকে বা অনলাইন থেকে শিখতে পারবেন।

আপনি যদি উল্লেখ্য যেকোনো বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন, তাহলে আপনার চাকরি বা ক্যারিয়ারে কোনো বাধা আসবে না।

Author

মুরাদ খান (Murad Khan) এর ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আলাদা আগ্রহ আছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনে ভালো পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করতে ভালোবাসেন। । কর্মজীবন শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে, পরে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দেন। নিজের চেষ্টায় অর্জন করেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন দক্ষতা। কাজ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহী মানুষের জীবন মান উন্নয়নে। এই লক্ষ্যেই বিডি আইসিটি ক্লাবের প্রতিষ্ঠা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!